প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন আইজার আকমাতভ।
টঙ্গীতে মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে প্রথম দুই ম্যাচেই পয়েন্ট খুইয়েছিল সাইফুল বারি টিটুর দল।
এ ম্যাচে আর সে পথে হাঁটেনি ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ীরা। মুন্সীগঞ্জে গিয়েই জয়ের ধারায় ফিরল সাদ উদ্দিন, জুয়েলরা। সাইফের বিপক্ষে শেখ রাসেলের একাদশে ছিলেন না দুই ব্রাজিলিয়ান এইলতন ম্যাচাদো ও পর্তুগালের ইসমায়েল রুতি তাবারেজ। বদলি হিসেবেও এই দুজনকে নামাননি সাইফুল বারি টিটু।
মুন্সীগঞ্জেই প্রথম দুই ম্যাচেই জেতা সাইফ স্পোর্টিংয়ের সুযোগ ছিল শেখ রাসেলকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখল করা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ জামাল ভুঁইয়ারা। শেষ দিকে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ বানিয়ে তা নষ্ট করেছে সাইফের ফরোয়ার্ডরা। ফলে ফিরতে পারেনি ম্যাচে।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে প্রথমার্ধে। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে শেখ রাসেলকে গিয়ে নেন আইজার আকমাতভ। সাইফের বক্সের ভেতর মোহম্মদ জুয়েলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন রিয়াদুল হাসান রাফি, সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি কিরগিজস্তানের এই ডিফেন্ডার। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় সাইফের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াসহ সাইফের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে। ম্যাচ শেষে দর্শকদেরও দুয়ো ধ্বনি শুনতে হয়েছে রেফারিকে।
তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেল সাইফ স্পোর্টিং এবং তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।